যে যে সকল বায়ার কম টাকায় কাজ করাতে চায় তারাই নতুনদেরকে হায়ার করে। এখন কিভাবে করবে? চোখ বন্ধ করে বা লটারী করে বাছাই করবে? একদমই না। হায়ার করার আগে বায়ার যাচাই করবে আপনি আসলে কাজ পারেন কিনা এবং আপনার কাজের মান কত ভাল। তো কিভাবে যাচাই করবে?
যাচাইয়ের মানদন্ডগুলো হল :
১. পোর্টফোলিও বা স্যাম্পল :
আপনাকে অবশ্যই স্যাম্পল তৈরী করতে হবে এবং কোন রকম স্যাম্পল হলে হবে না খুব ভাল মানের হতে হবে। ভাল স্যাম্পল দেখলে বায়ার বুঝবে যে আপনি ভাল মানের কাজ পারেন। আর স্যাম্পলগুলো অন্য কোথাও থেকে কালেকশন করা যাবে না। অবশ্যই অবশ্যই আপনাকেই তৈরী করতে হবে। কারণ এই স্যাম্পলের উপর বায়ার আপনাকে ইন্টারভিউতে বিভিন্ন প্রশ্ন করবে। ভাল স্যাম্পল দেখলে বায়ার নিশ্চিত হবে যে আপনি কাজ করেন নাই কিন্ত আপনি কাজ পারেন এবং কাজের মান ভাল।
২. প্রফেশনাল মানের এবং নির্ভুল গিগ :
শুধু কোন রকম একটি গিগ তৈরী করলে কাজ পাবে না। চাকরী দেয়ার আগে বায়ার অনেক সময় নিয়ে আপনার গিগটি পড়বে। সুতরাং গিগটি যদি মানসম্মত না হয় তাহলে শুরুতেই আপনার প্রতি একটি নেগেটিভ ধারণা তৈরী হবে।
৩. আপনার প্রোফাইল :
অবশ্যই প্রফেশনাল মানের প্রোফাইল তৈরী করতে হবে এবং এটি ১০০% কমপ্লিট হতে হবে। প্রোফাইলে আপনি কিভাবে নিজেকে উপাস্থাপন করছেন, কিভাবে আপনার স্কিল এবং এক্সপার্টাইজগুলোকে ডেসক্রাইব করছেন এটা খুবই গুরুত্বর্ণ। যারা কাজ পারে না তারা স্বাভাবিকভাবে নিজের প্রোফাইলকে প্রফেশনাল লুক দিতে পারবে না।
৪. কয়টি টেষ্টে পাশ করেছেন :
প্রত্যেক মার্কেটপ্লেসে টেষ্ট এর ব্যাবস্থা আছে। আপনি যত বেশী টেষ্ট দিয়ে পাশ করবেন ততই আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং ক্রাউডের মধ্যে আপনি আলাদাভাবে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে পারবেন।
৫. বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই :
অনেকেই মনে করেন যেনতেন ভাবে ২/৩ লাইন রিপ্লাই লিখে দিলেই হয়ে যায়। একদমই না। আপনার রিপ্লাইগুলো অবশ্যই বায়ারের সবগুলো সেনসেটিভ পয়েন্টকে কাভার করতে হবে। একটি ভাল মানের রিপ্লাই কমপক্ষে ১০/১২ লাইন হওয়াটা স্বাভাবিক। বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই লিখা একটি টেকনিক্যালি বিষয়। অবশ্যই এটি ভালভাবে শিখতে হবে। আপনার রিপ্লাই পড়ার পর বায়ার ডিসাইড করবে আপনাকে নক করবে কি করবে না।
৬. বায়ারের সাথে ইন্টারভিউ :
আপনার রিপ্লাই পাওয়ার পর বায়ার যদি সেটা পছন্দ করে তবে আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকবে। ইন্টারভিউ মানে লিখে লিখে চ্যাট করবে। অবশ্যই এই ইন্টারভিউর ম্যানারগুলো জানতে হবে এবং কিভাবে বায়ারকে ইন্টারভিউতে বিভিন্ন যুত্তি ও তথ্য দিয়ে ইমপ্রেস করবেন তা শিখতে হবে।
৭. খুব ভালভাবে কাজ শিখতে হবে :
সবচাইতে বড় কথা হল খুব ভালভাবে কাজ শিখতে হবে এবং একই কাজ বার বার করার মাধ্যমে স্কীল অর্জন করতে হবে। চাকরী পাওয়ার পর যদি কাজ করতে না পারেন তবে চাকরী এমনিতেই থাকবে না।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনি নতুন অবস্থায় সহজেই চাকরী পাবেন এবং আরো বুঝতে পেরেছেন কেন অনেক ফ্রিল্যান্সার মাসের পর মাস এপ্লাই করেও কাজ পায় না।
ধন্যবাদ
লেখক : মো: জামাল উদ্দিন
ফাউন্ডার
আউটসোর্সিং ইন্সটিটিউট