সরকারী ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে আপনার এক টাকাও লাগবে না বরং কোর্স শেষে আপনাকে ১০ হাজার টাকা উৎসাহ বোনাস দিবে। সরকার প্রতিবছর প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে শুধু ফ্রিল্যান্সিং শিখানোর জন্য। ২০১০ সাল থেকেই এইভাবে বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখানো হচ্ছে। এই সরকারী কোর্স করেই আপনি হতে পারেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার।
যোগ্যতা কেমন লাগবে :
মাত্র এস.এস.সি বা এইচ.এস.সি পাশ হলেই এপ্লাই করা যাবে।
কোথায় শিখানো হয় :
সরকার এখন পর্যন্ত অনেক ফ্রিল্যান্সিং কোর্স চালু করেছে। যথা :-
- লার্নিং এন্ড আর্নিং ডিভোল্পমেন্ট প্রোগ্রাম (LEDP)
- শেখ কামাল আইটি কোর্স
- শেখ রাসেল আইটি কোর্স
- মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
- জন সংস্থান, কর্ম সংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরো এর সরকারি কোর্স
- SEIP এর সরকারি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
- যুব উন্নয়ন এর ফ্রিল্যান্সিং কোর্স
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় এই কোর্স গুলো চলছে। আপনি চাইলে যেকোনো একটি কোর্স এ বিনামূল্যে ভর্তি হতে পারবেন।
কিভাবে এপ্লাই করব :
আপনি আপনার জেলার ডি.সি অফিস বা ইউ.এন.ও অফিস বা যুব উন্নয়ন অফিসে সরাসরি গিয়ে খোঁজ করুন। কোর্সগুলো সাধারণত সেখানেই হয়।
সরকার কেন ফ্রিল্যান্সিং শিখাতে এত ক্রেজি :
১. বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং থেকে হাজার কোটি ডলার ফরেন রেমিটেন্স আসে। সরকার বুঝতে পেরেছে দেশের প্রচুর জনগণকে ফ্রিল্যানিং শিখাতে পারলে প্রতি বছর লক্ষ কোটি ডলার দেশের রিজার্ভে জমা হবে।
২. এতে করে প্রত্যেক মানুষ নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করে ফেলতে পারবে। সরকারের উপর চাপ হবে না।
৩. ফ্রিল্যান্সিং করতে বড় কোন অবকাঠামো লাগে না। জাষ্ট লাগে একটি মাথা। বাংলাদেশে কোটি কোটি মাথা। প্রতিটি মাথার দাম হাজার কোটি টাকা। একটি দেশের সবচাইতে বড় সম্পদ মানুষ। কিন্তু অদক্ষ জনগণ সম্পদ নয় বরং বোঝা কিন্তু দক্ষ মানুষ হাজার কোটি টাকার সম্পদ। এখন শুধুমাত্র এই ব্রেইগুলোকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এমপাওয়ার করতে হবে।
৪. এখন এত লোক ফ্রিল্যান্সিং শিখলে প্রতিযোগীতা বেড়ে যাবে কিনা? একদমই না। সারা পৃথিবীতে প্রায় ২০০ টি দেশের মানুষ ফ্রিল্যন্সিং এর কাজ দেয় আর মাত্র বাংলাদেশ সহ ৫ টি দেশের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে। তাছাড়া যেই হারে সারা পৃথিবীর ব্যবসা বাণিজ্য ডিজিটালাইজ হচ্ছে, তাতে যেই হারে অনলাইন চাকরীর পোষ্ট তৈরী হচ্ছে তার অর্ধেকের অর্ধেকের অর্ধেকও দক্ষ ফ্রিল্যান্সার নাই। সুতরাং বাংলাদেশের সকল মানুষ যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখে তারপরও বৈশ্বিক চাহিদার ৫ শতাংশ ও পূরণ হবে না।
লেখক : মো : জামাল উদ্দিন ফাউন্ডার আউটসোর্সিং ইন্সটিটিউট