দেখুন আপনি কত ভাগ্যবান? কেন সফল হওয়া আপনার জন্য অতি সহজ?

আপনার আগের জেনারেশন অর্থাৎ আপনার বাবা বা দাদর চাইতে আপনি অনেক বেশী সৌভাগ্যবান। আপনি বর্তমানে অনেক বড় কিছু করতে পারেন যেটা তারা কল্পণাও করে নাই। আপনি চাইলেই কোটি টাকার মালিক হতে পারেন খুব সহজে এবং কম সময়ে। শুধুমাত্র উপলব্ধি না করার কারণে আপনি হীণমণ্যতা এবং হতাশায় ভুগছেন। বুঝিয়ে দিচ্ছি। সেটাই বুঝাব যেটা এতদিন আপনাকে কেউ বুঝিয়ে দেয়নি। ইনশাল্লাহ আপনি নতুন উদ্দীপনায় জেগে উঠবেন। আর সফলতা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

দেখুন  আপনি কত ভাগ্যবান? কেন সফল হওয়া আপনার জন্য অতি সহজ?
দেখুন  আপনি কত ভাগ্যবান? কেন সফল হওয়া আপনার জন্য অতি সহজ?

১. আপনার জীবনে সবচাইতে বড় আশীর্বাদ হল আপনার ইন্টারনেট আছে। তো এটা আর এমন কি? সবার মোবাইলেই আছে। হ্যাঁ আছে কিন্তু সবাই এটাকে শুধু এনটারটেইনমেন্ট পারপাস ইউজ করে। এটা দিয়ে জীবন পরিবর্তন হতে পারে এটা ভাবেও না বুঝেও না। বুঝার সময় কই - ফেইসবুক, টিকটক, ফ্রি ফায়ার ইত্যাদিতে ঢুবে থেকে জীবনের মূল্যবান সময়গুলোর অপচয় করছে। এটা আসলে তাদেরও দোষ না। তাদেরকে স্কুল বা কলেজে কোথাও ইন্টারনেটের ভাল ব্যবহার শিখানো হয় না। শিখানো হয় না কিভাবে এটা দিয়ে সে নিজের জীবন পরিবর্তন করতে পারে এবং কিভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রে সমৃদ্ধি আনাতে পারে।

২. একজন স্কুল টীচার বড়জোড় সারা জীবনে ৩/৪ হাজার ছেলে-মেয়েকে পড়াতে পারে কিন্তু আপনি অনলাইনে ক্লাস নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে শিখাতে পারেন।

৩. আগের যুগে টিউশন করলে জাষ্ট নিজের এলায় পড়াত। কিন্তু বর্তমানে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে এমনকি দেশের বাইরে ও টিউশন করতে পারেন এবং দশগুণ বেশী টাকা কামাতে পারেন।

৪. বাপ-দাদারা ব্যবসা করতে চাইলে শুধুমাত্র ব্যবসা শিখার জন্য বছরের পর বছর সেই রকম প্রতিষ্ঠানে চাকরী করতে হত কিন্তু এখন আপনি ইন্টারনে বসেই শিখে ফেলতে পারেন কিভাবে ব্যাগ বানাতে হয় বা যে কোন কিছু বানাতে হয়।

৫. আগে প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য সবার দোকানে দোকনে যেতে হত। এত পরিশ্রম করার পরও খুব অল্প প্রোডাক্ট বিক্রি হত। কিন্তু বর্তমানে আমরা ঘরে বসেই এস.ই.ও { SEO } করে কোন প্রোডাক্ট লাখ লাখ মানুষকে দেখাতে পারি, বিক্রি করতে পারি এবং পার্সেল করে ডেলীভারী দিতে পারি। আগে সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় কঠোর পরিশ্রম করে যা আয় হত এখন ঘরে বসে কম্পিউটারের সামনে বসে থেকেই হাজার গুণ বেশী ইনকাম করা যায়।

৬. আগে কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হত : ‍উগন্ডার প্রেসিডেন্টের নাম কি? উত্তর হত জানি না বা সম্ভবত অমুক। কিন্তু এখন “জানি না” শব্দটি আপনার ডিকশনারীতে নেই। জানা এবং না জানার পার্থক্য মোবাইলটা পকেট থেকে বের করা পর্যন্ত।

৭. আগে ব্যবসা বলতে বুঝাত দোকান দিতে হবে, সালামী এডভান্স ইত্যাদি অনেক খরচ এবং লং প্রসিডিউর কিন্তু এখন ব্যবসা আপনার মোবাইলেই। জাষ্ট ফেসুবকে পেইজ খুলুন। আপলোড করুন। ব্যবসা শুরু হয়ে গেলে। আপনি নিজের চেহারা না দেখিও খুব ভাল ব্যবসা করতে পারবেন।

৮. বড় রাজনৈতিক নেতা হতে হলে আগে জনসভার বকৃতা দিতে হত। তাও সবাই শুনতে পেত না। এখন আপনি ঘরের এক কোণে বসে কোন বকৃতা দিলে সারা দেশের মানুষ দেখতে পায়। এখন পলিটিক্যাল ফিগাররা অনলাইনের মাধ্যমে যত দ্রুত সারাধান মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি আগে সেটা কখনো সম্ভব ছিল না।

৯. কৃষকদের কাছে কোন তথ্য ছিল না। আধুনিক কৃষির টেকনিক তারা জানত না। কিন্তু আপনি যদি কৃষিকাজ করেন তবে ইন্টারনেটে উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন, আনকমন ফল বা ফসল চাষ করতে পারবেন, নতুন চাষাবাদ পদ্ধতি শিখতে পারবেন। এগুলো শিখে একজন ট্রেডিশনাল কৃষকের চাইতে দশগুণ বেশী উৎপাদন করতে পারবেন।

১০. আগে মানুষ চাকরী খুঁজত শুধুমাত্র দেশের মধ্যে। কিন্তু এখন আপনি অনেক স্মার্ট এখন ইন্টারনেটে আপনি সারা পৃথিবীর যে কোন দেশে অনলাইনে চাকরী করতে পারেন এবং বাংলাদেশের সেলারী স্কেলের চাইতে ১০ গুণ বেশী টাকা ইনকাম করতে পারেন ঘরে বসেই।

এই রকম আরো অনেক অনেক কিছু বলা যাবে। কিন্তু এই ইন্টারনেট নামক আলাউদ্দিনের দৈত্য থাকার পরও কেন আপনি সেই পাওয়ার টা ফিল করছেন না। কেন আপনি অসহায়। কারণ আপনি জানেন না কিভাবে সেই চেরাগে ঘষা দিয়ে সেই দৈত্যটাকে বের করতে হবে। কোনদিকে কিভাবে চেরাগে ঘষা দিতে হবে সেটাও ইন্টানেটে পাবেন। শুধুমাত্র আপনার আগ্রহ থাকতে হবে।

ধন্যবাদ
লেখক : মো: জামাল উদ্দিন
ফাউন্ডার,
আউটসোর্সিং ইন্সটিটিউট
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post