পরিশ্রম করে কখনোই সফল হওয়া যায় না! কেন? তাহলে সফলতার সূত্র কি?

আচ্ছা পরিশ্রম করেই যদি সবাই বড়লোক হয়ে যেতে পারত তাহলে কৃষক, দিনমজুর, তারা কেন হচ্ছে না। বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ পাবেন যারা প্রতিদিন ১৫ /১৬ ঘন্টা কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে তো তারা কেন কোটিপতি হচ্ছে না।

তাই পরিশ্রম কখনোই সফলতার চাবিকাঠি হতে পারে না। সফলতার মূলমন্ত্র কি? এক কথায় বললে - “নেশা”। হায় হায় নেশা তো খারাপ জিনিস। না সব নেশা খারাপ না। আপনি যদি নেশাগ্রস্থ হতে পারেন, পুরোপুরি এডিক্টেট হতে পারেন তবে আপনার সফলতা কেউ আটকাতে পারবে না। ট্রাষ্ট মি প্রত্যেকটা সফল মানুষই এডিক্টেড। ভুল বুঝবেন না। আমি মাদক আশক্তির কথা বলছি না।

পরিশ্রম করে কখনোই সফল হওয়া যায় না! কেন? তাহলে সফলতার সূত্র কি?

তাহলে কিসের সেই নেশা? সেটা হল কাজের নেশা? কিছু মানুষের জীবনই কাজ। কাজই জীবন। তাদের বিনোদন ভাল লাগে না, ছুটি ভাল লাগে না, নাটক, সিনেমা, আড্ডা, বেড়ানো কিছুই ভাল লাগে না। শুধু কাজই ভাল লাগে। সারাদিন নিজের মত কাজ করে। এটাই তাদের ভালবাসা এটাই তাদের বিনোদন। কখনো কাজ থেকে তাকে বিরত রাখলে সে মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে পড়ে।

পাশাপাশি তার সকল চিন্তা-ভাবনা কাজকে নিয়ে, কিভাবে আরো ইমপ্রুভ করবে। তার স্বপ্ন কিভাবে সে আরো বেটার সার্ভিস দিবে। তার মানে তার জীবনে, ভিতরে- বাহিরে- অন্তরে-অন্তরে শুধু কাজ, কোয়ালিটি, আইডিয়া শুধু এগুলোই ঘুরপাক খায়।

এখন অনেকেই বলবেন লোকটাতো স্বাভাবিক না। সে তো পাগল! সত্যি কথা বলতে কোন স্বাভাবিক মানুষ খুব বেশী সফল হতে পারে না। পাগলরাই পৃথিবী বদলে দেয়, পাগলরাই হাাজার হাজর মানুষের চাকরীর ক্ষেত্র তৈরী করে। পাগলরাই সম্পদশালী হয়, সকল স্বাভাবিক মানুষ একদিন এই পাগলদেরই স্তুতি করে। সহজ কথায় সফল বা সম্পদশালী হতে হলে আপনাকে নেশাগ্রস্থ এবং পাগল হতে হবে।

এখন আপনার মনে হবে আহারে লোকটা কত কষ্ট করে। কিন্তু তাকে প্রশ্ন করুন তার কষ্ট হয় কিনা? সে বলবে এটাই তার সখ। সে কোন টাকা না আসলেও এটাই করত। এটাই তার ভাল লাগা বা ভালবাসা।

এখন এত ভালবাসা তৈরী হল কিভাবে? সেই রহস্যটাই বলছি।

সে ঐ কাজের এত গভীরে প্রবেশ করেছে যে সেটার সৌন্দর্য সে দেখতে পেয়েছে। ঐটার মধ্যেই সে অনেক মজার একটা জগত পেয়েছে। যার ফলে বাহ্যিকভাবে দেখলে আপনার মনে হবে সে কাজ করছে আসলে তা না সে আনন্দের সাগরে ঢুবে আছে।

উপসংহারে বলি সফল হতে হতে আপনি যে বিষয়ে আগ্রহী সেই রিলেটেড একটি কাজ শিখতে হবে। তারপর দিনের পর দিন সেই কাজ নিয়ে পড়ে থাকতে হবে। বিষয়বস্তুর গভীর থেকে গভীরে যেতে হবে। প্রথমদিকে বিরক্ত লাগবে। বেশীক্ষণ সময় দিতে ইচ্ছা করবে না। কিন্তু আপনি কনটিনিউ করে যাবেন। একটা সময় দেখবেন আপনি আনন্দ পেতে শুরু করেছেন। তার মানে আপনি নেশাগ্রস্থ হতে শুরু করেছেন, এখন পাগল হওয়া শুধু সময়ের বাকী।

পাগলের রাজ্যে আপনাকে অভিন্দন। পৃথিবীর সকল কাজ পাগলদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।

ধন্যবাদ
লেখক : মো: জামাল উদ্দিন
ফাউন্ডার,
আউটসোর্সিং ইন্সটিটিউট
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post