আল্লাহর নিকট আমরা সবাই প্রত্যাবর্তন করবো। কিন্তু তাঁর নিকট ফিরে যাওয়ার পূর্বে আমাকে তাঁর দিকে ফিরতে হবে ইচ্ছাকৃতভাবে, ভালোবাসা সহকারে। আমাকে জীবনের উৎসের দিকে ফিরতে হবে। ভালোবাসার উৎসের দিকে ফিরতে হবে। শান্তির উৎসের দিকে ফিরতে হবে। সুবহানাহু ওয়া তায়ালা।
কিন্তু আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে। শুধু জিহ্বার আগা থেকে নয় বরং হৃদয়ের গহীন থেকে আস্তাগফিরুল্লাহ। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আস্তাগফিরুল্লাহ। আমি আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে নিবেদন করছি, তিনি যেনো আমাকে ক্ষমা করে দেন। আমি তাঁর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাইছি।
আরবি ভাষায় গাফারা মানে- ঢেকে ফেলা, প্রতিরক্ষা করা, আচ্ছাদিত করা।
তাই যখন আমি বলি আস্তাগফিরুল্লাহ, আমি আল্লাহর কাছে মাগফিরাত চাইছি। ইয়া আল্লাহ! প্লিজ, দয়া করে আমার পাপগুলো ঢেকে রাখুন এই দুনিয়াতে এবং পরকালে। প্লিজ, আমার লজ্জ্বাজনক পাপগুলো সবার সামনে প্রকাশ করে দিবেন না। এই জগতে এবং পরের জগতে।
গাফারা অর্থ ঢেকে ফেলা। ও আল্লাহ! আমার অন্যায়গুলো ঢেকে ফেলুন। প্রকাশ করে দিবেন না।
এর আরেকটি অর্থ, ইগফিরলীই অর্থ- ইয়া আল্লাহ! প্লিজ! নিঃশেষ করে দিন, গোপন করে ফেলুন আমার পাপের ফলাফল এই পৃথিবীতে এবং মৃত্যুর পরের জগতে।
জুনুব বা পাপের ফলাফল আছে এই দুনিয়ায় এবং পরকালে। ও আল্লাহ! আমার মন্দ কর্মের ফলাফলকে প্রকাশিত হতে দিবেন না। আমার মন্দ চিন্তার, মন্দ অনুভূতির, মন্দ কথার, মন্দ নিয়তের, মন্দ কর্মপ্রেরণার ফলাফলকে সক্রিয় হতে দিবেন না। কার্যকর হতে দিবেন না। এই জীবনে এবং পরের জীবনে।
ইয়া মাওলা! ইয়া আল্লাহ!
আর যখন আমি বলি- তুবতু ইলাইকা। প্রথমে আমি বলছি- আমি আপনার দিকে ফিরে আসছি, ইয়া আল্লাহ। আমি সত্যি বলছি। আমি শপথ করছি। আমি আপনার পথে ফিরে আসছি।
ফিরে আসতে হলে আগে কী করতে হবে? থামতে হবে। না থেমে তো এক দিক থেকে অন্য দিকে ফিরতে পারবেন না। আমরা ফিরতে পারবো শুধু যদি আমরা থামি এরপর নতুন করে পথ ঠিক করি। লক্ষ্য ঠিক করি।
আল্লাহর রাস্তা থেকে পালানো বন্ধ করতে হবে। আমার ভেতরগত কর্মপ্রেরণা, অন্তর্নিহিত আবেগ-অনুভূতি, অন্তর্নিহিত বুদ্ধিবৃত্তিক প্রবণতা, আদর্শগত ঝোঁক এবং ইমোশনাল ফিলিংসগুলোকে ছিন্ন করতে হবে ঐ সম্পর্কগুলো থেকে যা আমাকে আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।
শায়েখ মোখতার মাঘরুয়ি (Shaykh Mokhtar Maghroui)