যে ক্ষুদ্র চেষ্টাই আপনার পক্ষে করা সম্ভব হয়, করুন। কিছু চেষ্টা কোনো চেষ্টা না থাকার চেয়ে উত্তম। কিছু চেষ্টা কোনো চেষ্টা না থাকার চেয়ে উত্তম। আপনার পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব করুন। অতীতে যত পাপই করে থাকেন না কেন, কোনো ব্যাপার না প্রিয় মুসলিম। ও পাপী ব্যক্তি! যে ধরণের পাপই আপনার থাকুক না কেন, হতাশ হবেন না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দিকে ফিরে আসুন। মানুষের উপকারে কিছু করুন। আল্লাহর ইবাদাত করুন যত বেশি সম্ভব। তাঁর কাছাকাছি হওয়ার জন্য সংগ্রাম করে যান। হাত তুলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চান। কাকুতি-মিনতি করুন জান্নাত পাওয়ার জন্য। আল্লাহকে বলুন তিনি যেন আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করান।
(অনেক সময় আমরা নিজেদের অতীত পাপের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর কাছে বড় জান্নাত চাওয়ার সাহস পাই না) কিন্তু, প্রিয় মুসলিম ভাই এবং বোনেরা, মনের মধ্যে একটু সাহস সঞ্চয় করে, আরও একটু আশা নিয়ে আল্লাহর কাছে সর্বোচ্চ জান্নাতের জন্য দুয়া করুন। আমি অনেককে বলতে শুনেছি- "আমি যদি একেবারে সবার শেষেও জান্নাতে যেতে পারি তবু আমি খুশি।" আমরা আগের এক আলোচনায় বলেছি কোন ব্যক্তি সবার শেষে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে। আপনারা সেই আলোচনা শুনতে পারেন। আমি লোকজনকে বলতে শুনেছি- "আমি যদি সেই ব্যক্তিটিও হতে পারি তবু আমি খুশি।"
এতে কোনো সন্দেহ নেই, যারা জাহান্নামে পড়ে আছে সেই ব্যক্তি তাদের চেয়ে উত্তম। কিন্তু, আপনি কেন নিজের জন্য এতো নিম্নমানের লক্ষ্য নির্ধারণ করছেন? আপনাকে যদি এই দুনিয়ার সবচেয়ে নিম্নমানের বাড়ি দেওয়া হয় আপনি তো খুশি হবেন না। হবেন কি? আপনি তো সবচেয়ে নিম্নমানের খাবারেও সুখী হবেন না। হবেন কি? তাহলে কেন জান্নাতের জন্য আপনি এমন মনোভাব পোষণ করছেন?
যদিও সবচেয়ে নিম্নমানের জান্নাতও অসীমভাবে সেরা। আর খারাপ জান্নাত বলে কিছু নেই। হ্যাঁ, আমি এটা বুঝি এবং একমত।
কিন্তু, কেন আপনি মাঝারি মানের জন্য লক্ষ্য স্থির করবেন? উচ্চাশা পোষণ করুন। সবচেয়ে সেরা জান্নাত পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করে যান। মনোবল সঞ্চয় করে আল্লাহর নিকট হাত তুলে বলুন- ও আল্লাহ! আমি জান্নাতে প্রবেশকারীদের প্রথম সারিতে থাকতে চাই। ও আল্লাহ! আমি তাঁদের কাতারে থাকতে চাই যারা কোনো ধরণের হিসেব এবং শাস্তি ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। ও আল্লাহ! আমাকে বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করান। ও আল্লাহ! যারা সবার আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে আমাকে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন।
রাসূল (স) বলেছেন— "আল্লাহ জান্নাতে একশ’টি মর্যাদার স্তর প্রস্তুত করে রেখেছেন। দু’টি স্তরের ব্যবধান আসমান ও যমীনের দূরত্বের মত। তোমরা আল্লাহর নিকট চাইলে ফেরদাউস চাইবে। কেননা এটাই হলো সবচেয়ে উত্তম ও সর্বোচ্চ জান্নাত।"
ড. ইয়াসির ক্বাদী