ধরে নিচ্ছি ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত আপনার তেমন কোন আইডিয়া নাই আর কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং ইংলিশের স্কিল একদম বেসিক লেভেলের। তাহলে এখন থেকে শুরু করে কিভাবে আপনি প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করবেন তার শর্টকাট টেকনিকগুলো বলছি :
১. খুব সহজ কাজ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন। যেমন-
01. ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং,
02. লিডস জেনারেশন,
03. লিংক বিল্ডিং,
04. ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট,
05. ক্লাসিফাইড পোষ্টিং,
06. ফেসবুক বিজনেস পেইড ক্রিয়েট
07. ওয়েব রিসার্চ এবং ডেটা এন্ট্রি
08. ইউটিউব চ্যানেল তৈরী
09. গুগল টপ র্যাঙ্কিং
10. বুকমার্কিং
কঠিন কাজ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে ৬ মাসের আগে ইনকাম করা খুব কঠিন হবে তাই শুরুতে এই সহজ কাজগুলো দিয়ে শুরু করুন। তারপর ক্রমান্বয়ে কঠিন কাজগুলো শিখুন। যত বেশী এডভান্সড লেভেলের কাজ শিখবেন তত ইনকাম বাড়তে থাকবে।
২. আপনি যে ভাল কাজ পারেন তার প্রমাণ হিসেবে খুব ভাল মানের স্যাম্পল তৈরী করুন। কাজ দেয়ার আগে বায়ার আপনার স্যাম্পল দেখতে চাইবে। স্যাম্পল যদি ভাল হয় তাহলে সে আপনাকে নিশ্চিতভাবে কাজ দিবে এবং বেশী রেইটে কাজ দিবে। ভাল স্যাম্পলের মাধ্যমে অনেক ফ্রিল্যান্সারের ভিড়ে আপনি নিজের যোগ্যতা তুলে ধরতে পারবেন।
৩. প্রফেশনাল মানের গিগ তৈরী করুন যেন বায়ার আপনার গিগটি দেখেই মুগ্ধ হয় এবং আপনার জ্ঞনের গভীরতা অনুধাবন করতে পারে।
৪. গিগ পাবলিশ করার পর অনেক বায়ার আপনাকে রিকোয়েষ্ট পাঠাবে। ভালভাবে বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই করা শিখুন। অনেকেই মনে করে জাষ্ট ২/৪ লাইনে বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই করলেই হয়। একদমই না। এটা একটা টেকনিক্যাল বিষয়। কাজের প্রতিটা সেনসেটিভ পয়েন্ট যে আপনি কোয়লিটি দিয়ে করতে পারবেন তা বুঝাতে হবে। খুব ভালভাবে বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই এর হিডেন সিক্রেট বিষয়গুলো আপনাকে শিখতে হবে।
৫. আপনার রিপ্লাই বায়ারের পছন্দ হলে সে আপনার সাথে ইন্টারভিউ অর্থাৎ লিখে লিখে চ্যাট করবে। ইন্টারভিউ করার সময় আপনি কত ভালভাবে তার জন্য কাজটি করতে পারবেন, আপনি কেন কাজটি করার জন্য যোগ্য তা ভালভাবে বুঝাবেন। সেলারী কম চাইলে বায়ার কখনো ইমপ্রেস হবে না বরং আপনাকে অযোগ্য মনে করবে। তাই যৌক্তিক সেলারী চাইবেন। আপনি যদি টেকনিকগুলো শিখেন তাহলে নিশ্চিতভাবে বায়ারকে কনভিন্সড করতে পারবেন এবং সে আপনাকে হায়ার করবে। তারপর কাজ করবেন জামা দিবেন এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টে সেলারী জমা হবে।
৬. ফাইভারের, আপওয়ার্ক ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এবং লিংকড ইন থেকে প্রচুর কাজ পাওয়া যায় এবং বড় বড় বায়ার পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর বেশীরভাগ কাজই এই সকল সোস্যাল মিডিয়াতে পাওয়া যায়। আপনাকে শিখতে হবে কিভাবে এই সোস্যাল মিডিয়াগুলো থেকে কিভাবে বায়ার পাবেন এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
৭. আপনি বড় বড় বিদেশী কোম্পানীতে সরাসরি জব সিভি সাবমিট করে কাজ পাবেন।
৮. www.Craigslist.com হল আমেরিকার সবচাইতে বড় চাকরিদাতা সাইট। এখানে খুব ভাল রেইটে অসংখ্য জব পাবেন।
৯. বাংলাদেশের একটি ট্রেডিশনাল জব সাইট হল bdjobs.com ঠিক তেমনি সারা পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে এই রকম জবসাইট আছে। যে দেশে জব করতে চান সেই দেশের ট্রেডিশনাল জবসাইট খুঁজে বের করুন এবং সেখানে এপ্লাই করুন।
কাজ পাওয়ার এতগুলো ওয়ে দেখে টেনশনের কিছু নাই। যে কোন একটাতে কাজ পেলে বাকীগুলো ট্রাই করতে হবে না।
পরিশেষে এটাই বলব আপনি যদি ভালভাবে কাজ শিখেন, প্রফেশনাল গিগ তৈরী করেন, হাই কোয়ালিটি স্যাম্পল তৈরী করেন, বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই ও ইন্টারভিউর টেকনিকগুলো শিখে এবং কাজ পাওয়ার জন্য যতগুলো মাধ্যম উপরে বললাম সবগুলো মাধ্যমে যদি কাজ পাওয়ার ট্রাই করেন তাহলে নিশ্চিতভাবে আপনি প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
অনেকেই সফল হয় না। সঠিকভাবে না জানার কারণে বা ভুল গাইডলাইনের কারণে। এখন আপনি উপরের সবকিছু ভুলে গিয়ে জাষ্ট আমাদের এই ফ্রি কোর্সের লিংকটি ফলো করুন। এখানে আমি উপরের বর্ণনা অনুযায়ী সবগুলো টিউটোরিয়াল সাজিয়ে দিয়েছি। আপনি শুধুমাত্র প্রতিদিন ১২ ঘন্টা সময় দিবেন এবং ভিডিওগুলো দেখবেন, শিখবেন, প্র্যাকটিস করবেন, এপ্লাই করবেন। ইনশাল্লাহ আপনি সফল হবেনই হবেন।
ধন্যবাদ
লেখক : মো: জামাল উদ্দিন, CEO, আউটসোর্সিং ইন্সটিটিউট
আমাদের ফ্রি কোর্স লিংক : Free Course
উপরের লিংক ওপেন করতে না পারলে বিকল্প লিংক :