আপনাকে হায়ার করার পর বায়ার আপনাকে কাজ বুঝিয়ে দিবে এবং একটা সময়সীমা দিবে যে আপনাকে আগামী ৩/৫/৭ দিনের মধ্যে কাজটি করে শেষ করতে হবে।
এখন কাজটি নেয়ার পর আপনি আপনার সুবিধামত সময়ে কাজ করতে পারবেন। আপনি চাইলে দিনে করতে পারেন বা চাইলে রাতে করতে পারেন। যখন ইচ্ছা তখন করতে পারেন। করলেই হল। করার পর আপনি দিনে বা রাতে যে কোন সময় কাজটি জমা দিতে পারবেন। আর আপনি কাজ জমা দেয়ার পর বায়ার অনলাইনে যখন আসবে তখন আপনার কাজ চেক করবে এবং আপনাকে পেমেন্ট করবে।
সহজ কথা হল কাজ করার জন্য কোন নির্দিষ্ট টাইম নাই। দিনে বা রাতে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করতে পারবেন। বায়ারের কাজ দরকার আপনি কখন করেছেন সেটা তার জন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। আর করার পর যখন ইচ্ছা তখন জমা দিতে পারবেন।
তবে এখানে দুটি বিষয় আছে :
১. আমাদের বেশীরভাগ বায়ার আমেরিকান। তারা অফিসে আসে তাদের টাইমে সকাল ৯ টায়। তারা অফিসে এসেই আগে হায়ার করে। সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্য়ন্ত এই ৩ ঘন্টা তারা ফ্রিল্যান্সারের সাথে ইন্টারভিউ করে এবং নিয়োগ দেয়। তাদের যখন সকাল ৯ টা তখন আমাদের এখানে রাত ৯ টা। সুতরাং বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টা - ১২ টা এই টাইমটা ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়ার সবচাইতে ভাল সময়। এই সময়ে বায়ার আপনাকে নক করার সম্ভাবনা খুব বেশী। তো যখনই বায়ার আপনাকে মেসেজ করবে আপনি যদি সাথে সাথে রিপ্লাই করতে পারেন তাহলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশী।
আরেকটি মজার বিষয় হল যখন আপনার ২/৩ জন ফিক্সড বায়ার হয়ে যাবে তখন আর নতুন বায়ার খোঁজার প্রয়োজন হবে না। তখন আর রাত ১২ টা পর্যন্ত না জাগলেও চলবে।
২. কিছু কিছু কাজ আছে যেগুলো তাদের সময় মেনে করতে হয় সেগুলোর জন্য আপনাকে রাত জাগতে হবে। মনে করুন বিদেশী কোন কল সেন্টারের জব। আপনাকে তাদের অফিস টাইম অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আর তাদের দিন মানে আমাদের রাত। তবে এই রকম চাকরী খুবই খুবই কম। এই রকম চাকরী আপনি করবেন না। তাহলে রাত জাগার আর কেনা প্রয়োজন হবে না।
তাহলে কেন বেশীরভাগ ফ্রিল্যান্সার রাত জেগে কাজ করে?
আসলে তাদেরকে কেউ বাধ্য করে না তারা তাদের মনের খুশিতে করে। হয়ত দিনের বেলায় অন্য কোন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে, অথবা রাতের নিরিবিলি পরিবেশে অনেক মনযোগ দিয়ে কাজ করতে পারে।
যাহোক ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনাকে কোন বায়ার রাতে কাজ করতে বাধ্য করবে না।