কিভাবে সহজে কোটিপতি হবেন? How to become a millionaire easily?

সহজে বলতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে না। সঠিক স্কীল ডেভেলপ করে, কিভাবে খুব কম সময়ে সফলতার দিকে পৌঁছাবেন সেটাই আজ বলব। যারা কোন প্ররিশ্রম না করে বড়লোক হতে চান তার নিচের লিখাগুলো পড়বেন না প্লিজ।

ধরে নিচ্ছি আপনি খুব বেশী পড়শুনা করেন নাই। রেজাল্ট ও মোটামোটি। ইংলিশ এবং কম্পিউটার নলেজও একদম বেসিক। এখন আপনি চান খুব দ্রুত কোটিপতি হতে। ইনশাল্লাহ অবশ্যই পারবেন। আপনার এলাকায় যে সকল কোটিপতি পাবেন দেখন কারো রেজাল্ট ভাল নাই, ইংলিশ কম্পিউটার ইত্যাদিও ভালভাবে পারে না, ইভেন অনেকে শিক্ষিতও না। তো তারা যদি কোটিপতি হতে পারে আপনি পারবেন না কেন? মনকে শক্ত করুন। স্টিয়ারিং শক্ত করে ধরুন। সিটবেল্ট বাঁধুন - আসেন কোটিপতি হওয়ার জার্নি শুরু করি।

কিভাবে সহজে কোটিপতি হবেন? How to become a millionaire easily?

আগে বিশ্লেষণ করি তারা কিভাবে কোটিপতি হয়েছে। প্রথমত তারা একটা ব্যবসা বা কাজ খুব ভালভাবে শিখেছে। এবং ঐ কাজেই সম্পূর্ণ ফোকাস দিয়েছে। যার ফলে সে তার ব্যবসা বা সার্ভিস উন্নত করতে পেরেছে, মানুষের গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে, ভালবাসা পেয়েছে তার ব্যবসা বড় হয়েছে এবং সে স্বাভাবিকভাবেই কোটিপতি হয়েছে। এক কথায় তারা তাদের কাজকে ভালবেসেছে এবং পরম মমতা দিয়ে নিজের কাজটি করেছে।

তারা কখনো কোটিপতি হওয়ার চেষ্টা করেনাই। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে নাই। শুধুমাত্র কাজকে ভালবাসার কারণেই তাদের আজ টাকা-পয়সা, সামাজিক সম্মান, প্রতিপত্তি সবকিছুই আছে।

এখন আপনি কি কাজ করবেন আর কিভাবে কাজকে ভালবাসবেন?

আপনার যে বিষয়ে আগ্রহ আছে সেটাকেই আপনার পেশা বানিয়ে ফেলুন। যেমন আপনি ছবি আঁকতে পছন্দ করেন তাহলে ইউটিউব দেখে গ্রাফিক ডিজািইন শিখুন।

এখন এই গ্রাফিক ডিজাইন শিখে কিভাবে কোটিপতি হওয়া সম্ভব? জাষ্ট এক্সপান্ড ইউর ইমাজিনেশন। আপনি একটি ফার্ম তৈরী করুন। সেখানে ৫ জন লোক নিয়োগ দিন। এর পর বড় বড় কোম্পানীগুলোর সাথে চুক্তি করুন যাদের প্রতিদিন হাজার হাজার গ্রাফিক ডিজাইন করাতে হয় যেমন: ইকমার্স সাইট। এই রকম ২/৩ টি কোম্পানীর কাজ পেলে আপনি কাজ করে শেষ করতে পারবেন না। কমপক্ষে আপনি মাসে ১০ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বড়জোড় ১ লাখ টাকা খরচ হবে। ক্যালকুলেশন করুন কোটিপতি হতে কয়দিন লাগবে।

বুদ্ধিমানরা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন “গ্রাফিক ডিজাইন” একটি উদাহরণমাত্র এটি যে কোন কাজ হতে পারে।

আসুন এইবার আলুর ব্যাবসা করে কোটিপতি হই। আলু? হ্যা আলু। এক টাকাও ইনভেষ্ট করতে হবে না। আপনি একটি ওয়েব সাইট তৈরী করুন যেখানে সর্বপ্রকার আলু পাওয়া যাবে, যেমন গোল আলু, লাল আলু, ঠান্ড আলু, দেশী, বিদেশী ইত্যাদি। সবগুলোর সুন্দর ছবি ডেসক্রিপশন, গুণাগুণ এবং দাম লিখুন। তারপর আপনার ওয়েবসাইটে এস. ই.ও করে লাখ লাখ মানুষকে দেখান। অনেক আলুর অর্ডার আপনি পাবেন। কিন্তু আপনার কাছে তো প্রোডাক্ট নাই। কোন সমস্যা নাই। বাংলাদেশের অনেক জায়গা আছে যেখানে কৃষকরা দাম না পেয়ে আলু ফেলে দেয়। অনলাইনের মাধ্যমে তাদেরকে খুঁজে বের করুন। তারাই ঐখানে থেকে আলু ডেলিভারী দিবে। আর আপনি এইখান থেকে অর্ডার নিবেন। আপনি ২০ টাকায় আলু বিক্রি করলে কৃষককে ১৫ টাকা দেয়ার পরও আপনার ৫ টাকা লাভ থাকবে। বাংলাদেশের সকল রেষ্টুরেন্টে কম দামে ফ্রেস আলু সাপ্লাই দিতে পারবেন। ব্যবসা আরো বড় করলে আপনি দেশের বাইরেও ওয়েবসাইটের প্রচার করে আলু রপ্তানী করতে পারবেন।

মজার বিষয় হচ্ছে আপনার কোন খরচ নাই, রিস্ক নাই , ইনভেষ্ট নাই। ইনভেষ্ট শুধু আপনার ব্রেইন। এখানে আমি জাষ্ট দুইটা উদাহরণ দিলাম। এমন না যে আপনি আলুর ব্যবসা করবেন। আমি জাষ্ট আপনাকে ভাবনার পথ দেখিয়ে দিলাম। দুনিয়াতে এই রকম হাজারো ব্যাবসা বা পেশা আছে।

এত সহজ? না এত সহজ না। আমি আপনাকে হিমালয় পর্বতের চূড়া দেখিয়ে দিলাম। এখন আপনাকে হাঁটতে হবে। চলতে চলতে আপনার পা রক্তাক্ত হয়ে যাবে। সেই রক্তাত্ত পা নিয়ে আপনাকে দিনের পর দিন হাঁটতে হবে একা একা। সাহস আছে? যাদের এই সাহস আছে তারাই কোটিপতি হওয়ার যোগ্য।

ধন্যবাদ
লেখক : মো: জামাল উদ্দিন
ফাউন্ডার,
আউটসোর্সিং ইন্সটিটিউট
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post