ফুড রিভিউ চ্যানেল খুলে কিভাবে ইউটিউব থেকে মাসে লাখ টাকার বেশী আয় করবেন?

এটি করার জন্য আপনার একটি যোগ্যতাই লাগবে সেটি হল: “খাওয়া”। আপনি শুধু মজা করে খেতে পারলেই হবে। আরো মজার বিষয় হল নিজের পকেটের টাকা দিয়েও খেতে হবে না। রেষ্টুরেন্টগুলো আপনাকে দাওয়াত দিয়ে জামাই আদর করে খাওয়াবে এবং খুব ভাল ভাল অংকের সম্মানীও দিবে। পাশাপাশি ইউটিউব থেকে আপনার ইনকাম তো হবেই।

ফুড রিভিউ চ্যানেল খুলে কিভাবে ইউটিউব থেকে মাসে লাখ টাকার বেশী আয় করবেন?

আইডিয়া নিন : প্রথমত বাংলাদেশী এবং বিদেশী বিভিন্ন ফুড রিভিউ চ্যনেল দেখুন। তাদের ভিডিও গুলো দেখুন এবং আইডিয়া নিন।

কি কি ইন্সট্রূমেন্ট লাগবে : প্রথমদিকে জাষ্ট আপনার হাতের মোবাইলটাই যথেষ্ঠ। চাইলে একটা ছোট মেবাইল মাইক্রোফোন কিনতে পারেন। তারপর যখন আপনার ভাল ইনকাম হতে থাকবে তখন সেই টাকা দিয়েই DSLR Camera, ভাল মাইক্রোফোন সবকিছুই কিনতে পারবেন।

বিখ্যাত বা আনকমন আইটেম : এমন ফুড আইটেম খুঁজে বের করুন যেটা হয়ত খুবই বিখ্যাত খাবার বা খুবই আনকমন কোন আইটেম। যেসকল দোকান পুরো দেশে পরিচিত সেখানে গিয়ে খান, রিভিউ দিন প্রচুর ভিউ পাবেন।

ভিউয়ারের জন্য পর্যাপ্ত ইনফরমেশন : এমনভাবে বলবেন যেন আপনার খাওয়ার দেখলেই দর্শকদের খাওয়া হয়ে যায়, আপনার বর্ণনা শুনেই তারা যে খাবারের স্বাদ পায়। এর পর কিভাবে সেই দোকানে বা লোকেশনে যাবে তার বিস্তারিত বিবরণ। সুবিধা, অসুবিধা। যেটা ভাল সেটার প্রশংসা করবেন যেটা আপনার কাছে খারাপ লেগেছে সেটার সমালোচনা করবেন।

ফুড ব্রান্ডগুলোর সাথে যোগাযোগ : ইউটিউবে ১০/১২ টি ভিডিও আপলোড করার পর আপনি বিভিন্ন ফুড ব্রান্ড বা দোকানের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করবেন। আপনার চ্যানেল দেখাবেন। তখন তারা আপনার প্রতি আগ্রহী হবে। যদি আপনার প্রচুর ভিউয়ার থাকে তবে সেই ব্রান্ডগুলো আপনার খাওয়ার জন্য হায়ার করবে। রাজার মত খাওয়াবে এবং সম্মানী ভাতাও দিবে। কারণ আপনাকে যত বেশী খাওয়াতে পারে ততই তাদের লাভ!

ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিকস এবং ইউটিউব চ্যানেল এস.ই.ও: Camtasia, Filmora বা Adobe premier দিয়ে ভিডিও এডিটিং শিখে নিতে হবে। নিজের ভিডিও নিজেই এডিট করবেন। ফটোশপ শিখে খুব সুন্দর ভিডিও থাম্বনেইল বানাবেন এবং ইউটিউব এস.ই.ও শিখে নিজের ভিডিওগুলোকে লাক্ষ কোটি মানুষকে দেখাতে পারবেন।

বাংলাদেশে এই রকম প্রচুর ফুড রিভিউ চ্যানেল আছে যারা মাসে ২ লাখ টাকার বেশী আয় করে শুধুমাত্র ইউটিউব থেকে। সরাসরি ব্রান্ড থেকে কত পায় সেটাতো হিসেবের বাইরে।

ধন্যবাদ
লেখক: মো: জামাল উদ্দিন
ফাউন্ডার,
আউটসোর্সিং ইন্সটিটিউট
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post