ফ্রিল্যান্সিং সহজ নাকি কঠিন? Is Freelancing Easy or Hard?

শিখলে খুব খুব সহজ। আর ভালভাবে না শিখে করতে গেলে খুবই কঠিন এবং অসম্ভব। আপনার শিখাটা হবে যত কঠিনভাবে অর্থাৎ বিস্তারিতভাবে কাজ করাটা তত সহজ হবে। আর শিখাটা যত সংক্ষিপ্ত হবে কাজ করাটা তত জটিল হবে। আপনি প্রতি পদে পদে আটকে যাবেন।

যে ছেলে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা ইনকাম করে তাকে বলতে শুনবেন যে ফ্রিল্যান্সিং খুবই সহজ জিনিস। আর যে এখনো তেমন কোন ইনকাম করতে পারে নাই সে বলবে- এটার মত কঠিন জিনিস দুনিয়াতে নাই। আসলে কোনটা সত্যি। আসলে দুটাই সত্যি। প্রথমজন এত ভালভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে যে সে অন্ধকারেও হাঁটতে পারবে। আর দ্বিতীজন মনে করেছে পথ চলা টা খুব সহজ। তাই কোন রকম প্রস্তুতি না নিয়েই, পথের সমস্যাগুলো না বুঝে, সমাধান না শিখে হাঁটা শুরু করেছে। যা হবার তাই হবে। হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে।

ফ্রিল্যান্সিং সহজ নাকি কঠিন? Is Freelancing Easy or Hard?

একবার হোঁচট খেয়ে ব্যাথা পেলে সে মনে করবে পথটাই খারাপ। আসলে পথ ঠিকই আছে। একই পথে হেঁটে অনেকেই পর্বতের চূড়ায় উঠছে।

জাষ্ট নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। ফ্রিল্যান্সিং আপনার কাছে পানির মত সহজ হয়ে যাবে এবং আপনি নিশ্চিতভাবে প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন :

১. প্রথমে খুব সহজ কিছু কাজ শিখুন যেমন: ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং, ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, লিডস জেনারেশন, ফেসবুক বিজনেস পেইজ ক্রিয়েট, ইউটিউব চ্যানেল তৈরী ইত্যদি। এর মধ্য থেকে যে কোন ৪/৫ টি কাজ খুব ভালভাবে শিখুন।

২. কয়েকবার টিউটোরিয়াল দেখলে আপনি কাজটি শিখতে পারবেন কিন্তুু সেই শিখা কোন কাজে আসবে না। আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর দক্ষতা অর্জনের জন্য একই কাজ কমপক্ষে ১০/১২ বার করতে হবে।

৩. প্রবলেম সলিউশন: কাজটি করতে গিয়ে আপনি অনেক জায়গায় আটকে যাবেন। যেখানে আটকে যাবেন সেখানে ফোকাস করুন। সমস্যার গভীরে যান। গুগল ও ইউটিউব সার্চ করে সমস্যার সমাধান করুন। আপনি আমাদের পেইড স্টূডেন্ট হলে সকাল ১০ টা থেকে রাত ৩ টা পর্যন্ত মোট ১৬ ঘন্টা আমাদের সাপোর্ট টীম এই রকম সমস্যাগুলো সমাধান করে। তাছাড়া আমাদের টিউটোরিয়ালের মধ্যেও প্রতিটা পয়েন্টে বলা থাকে আপনি কোথায় কোথায় প্রবলেম এ পড়তে পারেন এবং সেটার সমাধান কি হবে। যাহোক প্রবলেম সলিউশন ক্যাপাবিলিটি তৈরী হলেই আপনি পরিপূর্ণ প্রফেশনাল। তখন আপনি সাবলীলভাবে কাজ করতে পারবেন। এবং অনেক বেশী সেলারী পাবেন।

একটা উদাহরণ দিই: মনে করুন একটা ব্যাংকে ম্যানেজার এবং জুনিয়র অফিসার দুজনই এম.বি.এ পাশ কিন্তু একজন সেলারী পায় ২লাখ টাকা আর আরেকজন পায় মাত্র ২০ হাজার টাকা। পার্থক্য কি? দুজনের তো সেইম কোয়ালিফিকেশন! পার্থক্য হলে প্রবলেম সলিউশন ক্যাপাবিলিটি। জুনিয়র অফিসারকে যেভাবে কাজ শিখানো হবে সেইভাবে করতে পারবে আর ম্যানেজার ঐ কাজের মধ্যে যত রকম প্রবলেম হবে সকল প্রবলেম সলিউশন দিতে পারবেন। তাই আপনি যদি প্রবলেম সলভ করতে পারেন তবে আপনি সাধারণ থেকে অসাধারণ হবেন।

এখন কিভাবে প্রবলেম সলিউশন স্কীল বাড়াব? কাজের মধ্যে ডুবে থাকুন। সমস্যা আসলে ভয় না পেয়ে লেগে থাকুন। নিশ্চিতভাবে আপনি সেটার সমাধান করতে পারবেন। আর যত সমাধান করবেন তত আপনার দক্ষতা বাড়তে থাকবে সাথে বাড়বে আপনার কনফিডেন্স।

৪. কাজ শিখার পর খুব ভালভাবে স্যাম্পল তৈরী করুন। শুধু স্যম্পল তৈরী করলেই হবে না খুবই প্রফেশনাল মানের স্যাম্পল হতে হবে। আপনাকে কাজ দেয়ার আগে আপনার কাজের মান যাচাই করার জন্য বায়ার আপনার স্যাম্পল দেখতে চাইবে। ভাল স্যাম্পল দেখাতে পারলে নিশ্চিতভাবে কাজ পাবেন, বেশী সেলারীতে কাজ পাবেন। প্রতিটি কাজের জন্য কিভাবে স্যাম্পল তৈরী করবেন তা নিয়ে আমাদের প্রচুর ভিডিও আছে।

৫. খুব ভাল মানের প্রফেশনাল গিগ তৈরী করতে হবে।

৭. বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই এবং বায়ারের সাথে ইন্টারভিউ করা শিখতে হবে। এই সংক্রান্ত আমাদের প্রচুর ভিডিও ক্লাস পাবেন ইউটিউবে।

উপরের সাতটি ধাপ ফলো করতে আপনার বড়জোড় একমাস সময় লাগবে। প্রতিদিন যদি আপনি ১২ ঘন্টা করে সময় দেন তবে মোট ৩৬০ ঘন্টা। এই ৩৬০ ঘন্টা উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে আপনি নিশ্চিতভাবে ১ম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। এবং নিশ্চিতভাবে প্রতি মাসে ৩০ হাজার প্লাস ইনাকম করতে পাবেন জাষ্ট এক মাসের প্রস্তুতি দিয়ে। এর পর আপনি যত এডভান্সড লেভেলের কাজ শিখবেন তত ইনকাম বাড়তে থাকবে।

আপনার কাজ আরো সহজ করার জন্য আমি উপরের বর্ণনা অনুযায়ী সবগুলো টিউটোরিয়াল সাজিয়ে আমাদের ফ্রি কোর্স তৈরী করেছি। আপনি জাষ্ট এই লিংকটা ফলো করলে ৪০ টা টিউটোরিয়াল পাবেন, এগুলো ধারাবাহিকভাবে দেখুন। একদম সহজভাবে এবং ধারাবাহিকভাবে সবকিছু বুঝতে পারবেন এবং কারো সহযোগিতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। প্রতি শনিবার রাত ৮ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত ফ্রি স্টূডেন্টদের জন্য ফ্রি সাপোর্ট দেয়া হয়।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post