যে ১১টি আমলে রাতজেগে ইবাদত এবং তাহাজ্জুদ সালাত আদায়ের সওয়াব অর্জন করার মহান আল্লাহ তায়ালা দান করবেন:
১) এশার এবং ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা।
২) যহুরের চার রাকাত সুন্নত গুরুত্বের সাথে আদায় করা।
৩) তারাবির সালাত শেষ পর্যন্ত ইমামের সাথে আদায় করা।(ইমাম সাহেব যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা)।
৪) সারারাতের মধ্যে কোরআন মাজিদের যেকোন একশো আয়াত পড়তে হবে।
৫) রাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়লেও তাহাজ্জুদ নামাজের সওয়াব অর্জন করা সম্ভব।
৬) নিজের আচরণ সুন্দর করা। উওম আচরণ!! উওম ব্যবহার মুমীনের সম্পদ!!
৭) বিধবা, মিসকিন এবং অসহায় মানুষের জন্য খেদমত অর্থাৎ সেবাদানের চেষ্টা করে।
৮) জুম্মার দিনের সুন্নাতী কাজগুলো করা।
৯) আল্লাহর রাস্তায় রাত জেগে পাহারা দেওয়ার কাজ করা।
১০) যে ব্যক্তি রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমের জন্য প্রস্তুত করলো এবং আল্লাহর জন্য নিয়ত করলো যে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবে। কিন্তু সে ঘুমের কারণে উঠতে পারলো না তবুও সে রাত জাগার ইবাদত করার সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ।
১১) এ আমগুলো শিখলেন, এবং একে অন্যের কাছে শেয়ার করলেন, প্রচার করলেন এতেও সারারাত জাগার তাহাজ্জুদ আদায় করার সওয়াব মহান আল্লাহ আমাদের দান করবেন।
তুমি কি জানতে চাও, আল্লাহর কাছে তোমার সম্মান কতটকু? তাহলে দেখ, তিনি তোমাকে কোন অবস্থায় রেখেছেন?
-যদি দেখ তিনি তোমাকে তার যিকিরে মশগুল রেখেছেন, তাহলে জেনে রেখ, তিনি তোমাকে স্মরণ করতে চান।
-যদি দেখ তিনি তোমাকে কুরআন দ্বারা মশগুল রেখেছেন, তাহলে জেনে রেখ, তিনি তোমার সাথে কথা বলতে চান।
-যদি দেখ, তিনি তোমাকে ইবাদাত/আনুগত্যে ব্যস্ত রেখেছেন, তাহলে জেনে রেখ, তিনি তোমাকে তার সান্নিধ্যে টেনে নিয়েছেন।
-যদি দেখ, তিনি তোমাকে দুনিয়া দিয়ে ব্যস্ত করে দিয়েছেন, তাহলে জেনে নাও, তিনি তোমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন।
-যদি দেখ, তিনি তোমাকে লোকজনের সাথে মশগুল বানিয়ে দিয়েছেন, তাহলে জেনে নাও, তিনি তোমাকে অপমানিত করেছেন।
-যদি দেখ, তিনি তোমাকে দুআর দ্বারা ব্যস্ত রেখেছেন, তাহলে জেনে নাও, তিনি তোমাকে কিছু দিতে চান।
অতএব, সবসময় নিজের অবস্থা দেখ। তুমি কোন কাজে মশগুল? আল্লাহ তোমাকে যে কাজে ব্যস্ত রেখেছেন, সেটাই তোমার অবস্থান তাঁর কাছে।
আল্লাহতালা আমাদের অনুধাবন করার তৌফিক দান করুন।