আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন অর্থাৎ কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ইংলিশ এ একদম জিরো হয়ে থাকেন এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে তেমন কিছু না জানেন তবে আপনার জন্য কোন কাজটি উপযুক্ত হবে। কিভাবে, কোন কাজ দিয়ে আপনি প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করবেন। বুঝিয়ে বলছি।
১. কম্পিউটার ও ইন্টারনেট :
একদমই যদি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারেন তবে আমাদের বেসিক কম্পিউটার ও বেসিক ইন্টারনেটের ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে। শুধুমাত্র আমাদের এই টিউটোরিয়াল গুলো দেখেই পরিপূর্ণভাবে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট শিখতে পারবেন। কোন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে ৩ মাসে যা শিখবেন তার চাইতে ভালভাবে শিখতে পারবেন আমাদের এই টিউটোরিয়াল গুলো দেখে। একদমই ফ্রি। ভিডিওগুলো পেতে এই লিংকটি ওপেন করে : ১নং ও ২নং এ বেসিক কম্পিটার ও বেসিক ইন্টারনেটের ভিডিওগুলো পাবেন:
এগুলো আগে ভালভাবে দেখুন, শিখুন তারপর আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মূল কোর্স শুরু কতে পারবেন।
২. ইংলিশ :
অনেকেই টেনশন করেন যে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে বায়াররের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে হবে। না, একদমই না। বায়াররা কখনো ভিডিও কলে কথা বলে না। সবসময় লিখে লিখে কথা বলে। কারণ কাজের বিষয়গুলো লিখে বুঝানো যত সহজ মুখে কথা বলে বুঝানো অনেক কঠিন। তাই বায়াররা শুধুমাত্র লিখে লিখে কথা বলে। আপনি বন্ধুর সাথে যেভাবে ফেসবুকে চ্যাট করেন ঠিক সেইভাবে বন্ধুর মত বায়ার আপনার সাথে লিখে লিখে চ্যাট করবে। যাইহোক ইংলিশ নিয়ে ভয়ের কিছু নাই।
তবে আপনি ইংলিশে যত ভাল বা যত খারাপ হোন না কেন আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর উপযোগী করে ইংলিশ শিখতে হবে। জেনারেল ইংলিশ একরকম আবার ফ্রিল্যান্সিং ইংলিশ একটু ভিন্ন রকম। ফ্রিল্যান্সিং ইংলিশ হল টেকনিক্যাল ইংলিশ। কোন ইংলিশ ট্রেনিং সেন্টার ফ্রিল্যান্সিং এর উপযোগী টেকনিক্যাল ইংলিশ শেখায় না। ফ্রিল্যান্সিং ইংলিশ নিয়ে আমাদের একটা ভিডিও ক্লাস আছে। জাষ্ট এটা দেখেই আপনি পরিপূর্ণভাবে ফ্রিল্যান্সিং ইংলিশ শিখতে পারবেন।
আমাদের ইংলিশ টিউটোরিয়াল লিংক :
৩. উপরের লিংকগুলোর টিউটোরিয়াল দেখে বেসিক কম্পিউটার, বেসিক ইন্টারনেট এবং ইংলিশ শিখা হয়ে গেলে এখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রস্তুত। তো এখন কি করবেন:
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সহজ কাজ :
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সহজ কাজগুলো হল:
01. ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং,
02. লিডস জেনারেশন,
03. ডাটা এন্ট্রি,
04. ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট,
05. ক্লাসিফাইড পোষ্টিং,
06. লিংক বিল্ডিং,
07. ফেসবুক বিজনেস পেইজ তৈরী,
08. ইউটিউব চ্যানেল তৈরী ইত্যাদি।
এই কাজগুলো থেকে যে কোন ৩টি কাজ খুব ভালভাবে শিখুন। কোন ৩টি শিখবেন? যেগুলো আপনার কাছে সহজ লাগে সেগুলো শিখবেন।
কাজ শিখার পর ঐ কাজের জন্য গিগ তৈরী করবেন। ভালভাবে গিগ তৈরী করলে বিভিন্ন বায়াররা আপনার গিগ অর্থাৎ আপনার কাজের বিবরণ দেখে আপনাকে রিকোয়েষ্ট পাঠাবে। আপনার সাথে চ্যাট করবে এবং হায়ার করবে।
পাশাপাশি আপনি ফাইভারের বাইরে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে আপনার গিগটি অর্থাৎ আপনার সার্ভিস অফারটি শেয়ার করবেন।
মোট সময় কতদিন লাগবে :
৩ টা কাজ শিখতে ২*৩=৬ দিন, ৩ টা গিগ তৈরী করতে ৩*৩=৯ দিন। তারপর এপ্লাই করা, কাজ করা, জমা দেয়া, পেমেন্ট ট্রান্সফার এই সবকিছু মিলে আনুমানিক ১৫ দিন।
তার মানে আপনি যদি আজ ডিটারমাইন্ড হয়ে বসে যান যে আপনি এক মাসের মধ্যে ইনকাম শুরু করবেন এবং প্রতিদিন ১২ ঘন্টা করে সময় দেয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তাহলে ১০০% নিশ্চিত যে আপনি ১ম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
আর যদি কোন রকম চেষ্টা করেন তাহলে বছরের পর বছর চলে যাবে কিন্তু সফল হওয়া যাবে না।
কিভাবে এগুলো শিখব :
আপনাকে এগুলো শিখার জন্য এক টাকাও খরচ করতে হবে না। জাষ্ট আমাদের ওয়েব সাইটের ফ্রি কোর্স বাটনে সবকিছু খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে দেয়া আছে। কাজ, গিগ তৈরী, স্যাম্পল তৈরী, বায়াররের সাথে ইন্টারভিউ ইত্যাদি সবকিছু খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে দেয়া আছে। আপনি শুধুমাত্র ১নং ভিডিও থেকে ৪০নং ভিডিও পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দেখে যাবেন।
ভিডিও ক্লাস দেখবেন এবং ভিডিও ক্লাসে যা শিখানো হয়েছে তা শিখবেন, যেভাবে প্র্যাকটিস করতে বলা হয়েছে সেভাবে প্র্যাকটিস করবেন। কোথাও কোন প্রবলেম হলে প্রতি শনিবার রাত ৮ টায় আমাদের ফ্রি সাপোর্ট এ আসবেন।
শুধুমাত্র এই ৩টি কাজ দিয়েই আপনি প্রতি মাসে ২০/৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তারপর এডভান্সড লেভেলের কাজগুলো শিখাতে প্রতিদিন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রতিদিনের এডভান্সড ক্লাসগুলো দেখে কঠিন কাজগুলো শিখুন। যত কঠিন কাজ শিখবেন তত ইনকাম বাড়াতে থাকবে। ক্রমান্বয়ে আপনি মাসে ৭০/৮০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এখন দুনিয়ার সবকিছু বাদ দিয়ে জাষ্ট নিচের এই লিংকে ক্লিক করে ধারাবাহিকভাবে ভিডিওগুলো দেখুন এবং প্র্যাকটিস করুন। ভিডিও গুলো নতুনদের জন্য উপযোগী তাই আপনার বুঝতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হবে না।