11 । The last Prophet Muhammad (PBUH) is the greatest role model in our lives । শেষ নবি হযরত মুহম্মদ (স.) হলেন আমাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ ।

👉উদ্দীপক : কলিমদ্দীন জনগণের সেবা করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বল্টু তালুকদার। পরাজয় সুনিশ্চিত জেনে বল্টু তালুকদার তার সাঙ্গােপাঙ্গদের নিয়ে কলিমদ্দীনকে বেদম প্রহার করল। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনতার উদ্দেশে কলিমদ্দীন মেঘ্বার বললেন, "ভাইসব, তালুকদার সাহেব আমার বড় ভাই। তাকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের সেবা করতে চাই।

ক. তিনি দীর্ঘ নন, খর্ব নন, কৃশ নন উক্তিটি কার?
খ. রাসুলুল্লাহ (স.)-এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলাে সাজিয়ে লেখ।
গ. তালুকদার তার সাঙ্গােপাঙ্গদের নিয়ে কলিমদ্দীনকে বেদম প্রহার করল- উক্তিটি 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের সঙ্গে কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ? দেখাও।
ঘ. "উতক্ত সাদৃশ্য থাকলেও 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাবধারা এক নয়"- যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।


09 । The last Prophet Muhammad (PBUH) is the greatest role model in our lives । শেষ নবি হযরত মুহম্মদ (স.) হলেন আমাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ ।


ক. জ্ঞান :
তিনি দীর্ঘ নন, খর্ব নন, কৃশ নন- উক্তিটি আবু মাবদ-এর স্ত্রী উম্মে মাবদ-এর।

খ. অনুধাবন :
মানুষের সামগ্রিক জীবন সুন্দর ও সফল করতে মনীষীদের যেসব জীবনকর্ম অনুসরণ করা হয় তা-ই তাঁর জীবনদর্শন। শেষ নবি হযরত মুহম্মদ (স.) হলেন আমাদের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ।

হযরত মুহম্মদ (স.) মানুষের পক্ষে যা আচরণীয় তিনি তারই আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি সততা, বিশ্বস্ততা, উদারতা, পরমতসহিষ্ণুতা, আত্মসংযম, পরােপকারিতা, বদান্যতা, সহমর্মিতা, সহনশীলতা, বিনয় ও নম্রতা, সুশৃঙ্খলা, পারস্পরিক সম্প্রীতি, নিরপেক্ষতা, ক্ষমা ও ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি গুণের অধিকারী ছিলেন। তিনি মানবজাতির কল্যাণের জন্য নিয়ােজিত ছিলেন।

সারকথা : হযরত মুহম্মদ (স.)-এর জীবনে বহু মানবীয় গুণের সমাবেশ ঘটেছিল। তিনি ছিলেন সত্যবাদী, উদার, 'পরমত সহিষ্ণু, পরােকপারী, ক্ষমাশীল, দয়ালু, সুশৃঙ্খল, ন্যায়-পরায়ণ, সাহসী যােদ্ধা ও সম্মােহন শক্তির অধিকারী।


গ. প্রয়ােগ :
'তালুকদার তার সাঙ্গােপাঙ্গদের নিয়ে কলিমদ্দীনকে বেদম প্রহার করল উক্তিটি 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের সঙ্গ মহানুভবতা ও ক্ষমাশীলতার দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ক্ষমাশীলতা মানব চরিত্রের একটি মহৎ গুণ। ক্ষমার মধ্য দিয়ে মানুষ নিজে যেমন মহৎ হয়, তেমনি ক্ষমা লাভকারী ব্যক্তিও সত্য, ন্যায়ের সন্ধান লাভ করে। বিভিন্ন মানবীয় গুণের সমাবেশে মানুষ মহৎ মানুষ হয়ে ওঠে।

উদ্দীপকে ক্ষমাশীলতা ও মহানুভবতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। এখানে কলিমদ্দীনের মধ্যে ক্ষমাশীলতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি তার প্রহারকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি শত্রুকে ক্ষমা করে দিয়ে সবার কল্যাণে তাকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন। এ বিষয়টি মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধেও প্রতিফলিত হয়েছে। মহানবি হযরত মুহম্মদ (স.) শত্রুর নিষ্ঠুর আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েও তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। ধর্ম প্রচার করতে গেলে মক্কার পথে পথে তিনি পৌত্তলিকদের পাথরের আঘাতের শিকার হয়েছেন। তাঁর শরীর থেকে রক্ত ঝরেছে তবু তিনি তাদের অভিশাপ দেননি। তিনি তাদের আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানিয়েছেন, "এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর।


সারকথা : মহানবি (স.) ছিলেন মহানুভব ও ক্ষমাশীল ব্যক্তি। উদ্দীপকে মহানবি (স.)-এর গুণের প্রতিফলন ঘটেছে। মহানবি শত্রুর নিষ্ঠুর আঘাতের শিকার হয়েও তাকে অভিসম্পাত না করে ক্ষমা করে দিতেন। উদ্দীপকেও কলিমদ্দীন আঘাতকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা :
উত্ত সাদৃশ্য থাকলেও 'মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাবধারা এক নয়।- মন্তব্যটি যথার্থ।

ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুগে যুগে বহু ক্ষমাশীল মহৎ ব্যক্তির আগমন ঘটেছে। মানবতাবাদী মানুষ সবার প্রিয়পাত্র হন। উন্নত চরিত্রের প্রকাশ ঘটিয়ে তিনি সবার বিশ্বাস অর্জন করেন। উদার মানবিকতাবােধসম্পন্ন ক্ষমাশীল ব্যক্তি সহজেই মানুষের মাঝে মানবকল্যাণের বাণী ছড়িয়ে দিতে পারেন।

উদ্দীপকে ক্ষমাশীলতা ও মানবিকতার দিক প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে অন্যায়ভাবে কলিমদ্দীনকে আঘাত করার পর কলিমদ্দীন তালুকদারকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই বিষয়টি ছাড়া উদ্দীপকে মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের প্রতিফলিত অন্য কোনাে বিষয় নেই। ক্ষমাশীলতা ছাড়াও প্রবন্ধে উদার মানবিকতা, সাহস, ধৈর্য প্রভৃতি মানবীয় গুণের প্রকাশ ঘটেছে। সত্য প্রচারে মহানবি (স.) যে বজ্রের মতাে কঠিন ছিলেন তা উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি।


মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধে লেখক হযরত মুহম্মদ (স.) চরিত্রের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। মানবপ্রেম, ক্ষমতা, উদারতা, দয়া প্রভৃতি মানবীয় গুণের সমাবেশ ঘটেছিল তার চরিত্রে। তিনি আজীবন মানবকল্যাণে নিয়ােজিত ছিলেন। মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের সঠিক পথ দেখাতে তাঁর ক্লান্তি ছিল না। তিনি আড়ম্বরপূর্ণ জীবন পছন্দ করতেন না। দারিদ্রযকে তিনি স্বেচ্ছায় মাথা পেতে নিয়েছিলেন। এ বিষয়গুলোর কোনো তথ্য উদ্দীপকে পাওয়া যায় না। শত্রুর আঘাতে রক্তাক্ত হয়েও তাদের জন্য তিনি যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, এই বিষয়টিই কেবল আলােচ্য উদ্দীপকের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা হয়েছে যে, উত্ত সাদৃশ্য থাকলেও মানুষ মুহম্মদ (স.)' প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাবধারা এক নয়।

মারকথা : ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। মহানবি (স) ক্ষমাশীলতার মূর্ত প্রতীক। উদ্দীপকে ক্ষমাশীলতার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। সেখানে অন্যায়ভাবে কলিমদ্দীনকে আঘাত করার পরও তিনি শত্রুদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। এ বিষয়টি মহানবির ক্ষমাশীলতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তবে এ দুটোর ভাববস্তু ভিন্ন।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post